পদ্মায় হঠাৎ পানি বৃদ্ধিতে অসহায় ও মানবেতর জীবন যাপন

পদ্মায় হঠাৎ পানি বৃদ্ধিতে অসহায় ও মানবেতর জীবন যাপন

পদ্মায় হঠাৎ পানি বৃদ্ধিতে অসহায় ও মানবেতর জীবন যাপন
পদ্মায় হঠাৎ পানি বৃদ্ধিতে অসহায় ও মানবেতর জীবন যাপন

বাঘা প্রতিনিধি : পদ্মায় হঠাৎ পানি বৃদ্ধিতে রাজশাহীর বাঘায় চকরাজাপুর ইউনিয়নের চরাঞ্চল,গড়গড়ী ও পাকুড়িয়া ইউনিয়নের আংশিক পদ্মার চর এলাকায় সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দি। বন্যাকবলিত চর এলাকায় বসবাসরত পানিবন্দি মানুষ এখন অসহায় ও মানবেতর জীবন যাপন করছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,গত কয়েক দিন যাবৎ পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে গড়গড়ী ইউনিয়নের, ব্যাংগাড়ী,চাঁদপুর,ব্রামুনডাঙ্গা,কড়ালী নওশারা, সুলতানপুর,পাকুড়িয়া ইউনিয়নের আংশিক ও চকরাজাপুর ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা পানিতে ডুবে গেছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে চরাঞ্চলের সহস্রাধিক পরিবার। এছাড়া প্রায় ১ হাজার একর জমির সবজিসহ বিভিন্ন ফসল পানিতে ডুবে গেছে।

তারা আরো বলেন,এর পাশাপাশি নদী ভাংগনে প্রায় ৫০ টি পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। এসব এলাকায় গরু-ছাগল খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়,গত কয়েকদিন ধরে পদ্মায় হঠাৎ পানি বৃদ্ধির ফলে চরাঞ্চলের অনেক নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েশত পরিবার। তবে চকরাজাপুর,গড়গড়ি, ও পাকুড়িয়া ইউনিয়নের ফসলি জমি ও বিভিন্ন বাগানসহ পদ্মার চরাঞ্চলে কত হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে তা নিরুপন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জনান উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান। তবে রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন,জেলায় এখনো পানি বিপদসীমার নিচে রয়েছে।

এ বিষয়ে,চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল আজম বলেন, এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাপিয়া সুলতানা জানান, চরাঞ্চলের পানিবন্দি পরিবার গুলো মানবেতর জীবনযাপন করছেন। আমি সরেজমিনে পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি। ইতোমধ্যেই জেলা প্রশাসকের সহযোগিতায় ১০ টন চাউল ও নগদ ২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। (২০-আগষ্ট) শুক্রবার চকরাজাপুর ইউনিয়নের ১,২,ও ৩ নং ওয়ার্ডে ৫শ পরিবারের মাঝে ৫শ ব্যাগ চাউলসহ বিভিন্ন ত্রান সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এই ত্রান বিতরণ কার্যক্রম চলমান থাকবে ।

রাজাশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম শেখ এই প্রতিবেদককে বলেন,পদ্মা নদীর পানি এখনো বিপদসীমার নিচ দিয়েই প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার বাকি সব নদীর পানি অন্য বছরের তুলনায় এবার এখনো কম আছে। তবে তিস্তার পানি চলে আসলে বিপজ্জনক হতে পারে।

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply